Breaking News

আমি একজন ধর্ষক

" আমি একজন ধর্ষক "
.
কিছুক্ষণ আগে আমি একটি মেয়েকে ধর্ষণ করেছি । মেয়েটি অবশ্য আমার ভালোবাসার মানুষ তবে এখন আর আমি তার ভালোবাসার মানুষ নই । মেয়েটির সম্পূর্ণ অনিচ্ছা শর্তেও জোর পূর্বক তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্হাপন করেছি ।
.
ওদের বাড়িতে আমার মাঝেমধ্যে যাতায়াত ছিল । আমাদের সম্পর্কের কথা ওর বাবা মা জানত এছাড়াও মেয়েটি আমাদের দূর সম্পর্কের আত্মীয় ।
.
আজ ওদের বাসায় কেউ ছিল না । তবে সেটা আমার জানা ছিল না । আমি যখন দরজায় নক করলাম দেখলাম শুভা দরজা খুলে দিয়েছে । গায়ে জড়ানো আকাশি রঙের একটি শাড়ি । দেখতে ঠিক যেন আকাশ পরির মতো লাগছিল । ঠোঁটে হালকা লেপেস্টিক আর কপালের টিপটা যেন তার রূপের জ্যোতি আরো বহু গুণে বাড়িয়ে দিয়েছে । যখন ওর মুখ থেকে শুনলাম বাসায় কেউ নেই এমনিতেই একটু সেজেছে তখন আমার খুশি দেখে কে । তবে এটা সত্যি শুভা কে শারীরিক ভোগ করার কোন ইচ্ছেই আমার ছিল না কিন্তু ওকে সামান্য আদর করতে ইচ্ছে ইচ্ছিল ।



.
যখন শুভাকে একটি মাত্র লিপ কিস দিতে ইচ্ছে প্রকাশ করলাম তবুও সেটাতে ও রাজি ছিল না । তারপরেও আমার মন রক্ষার্থে যখন ওকে কিস দিচ্ছিলাম তখন আর নিজেকে ধরে রাখতে পারিনি আমার ভেতরের পশুটা জাগ্রত হয়ে যাচ্ছিল । বারবার শুভা আমাকে নিষেধ করছিল কিন্তু আমি কোন কথাই শুনছিলাম না । এক পর্যায়ে শুভা যখন বুঝতে পারলো আমি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছি আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছিল । কিন্তু আমি হিংস্র বাঘের মতো পুনরায় শুভার গায়ের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছি । আমার হিতাহিত জ্ঞান তখন কিছুই ছিল না । তখন আমি কি করেছি না করেছি নিজেই কিছু জানিনা । যখন ঝড় থেমে গেল সব কিছু শীতল নিস্তব্ধ তখন আবার সজ্ঞনে ফিরে এসেছি কিন্তু সেটা অনেক দেরি হয়ে গেছে ।
.
এখন আমি ওদের গেস্টরুমে বসে আছি । শুভার বেড রুম থেকে কান্নার শব্দ ভেসে আসছে । যদিও আমি ভুল করে ফেলেছি অন্যায় করে ছেলেছি তবুও আমি একটা সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছি । খুব শীঘ্র শুভা কে বিয়ে করতে হবে ।
.
সেদিনকার মতো ওদের বাসা থেকে আমি চলে আসি । তবে শুভার সাথে কথা বলার মতো সাহস আমার ছিল না । তাই লোক মারফত শুভাকে বিয়ে করার প্রস্তাব পাঠিয়েছি । যখন জানতে পারলাম পরিবারের সবার এই বিয়েতে কোন অমত নেই তখন খুব ভালো লাগছিল । যাই হোক নিজের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করার একটা সুযোগ পাওয়া যাবে । কিন্তু শুভার একটা মেসেজ আমাকে বাক রুদ্ধ করে দিল ।
.
সেদিন বিয়েতে কিভাবে কি করা যায় চিন্তা করছিলাম আর চিন্তা করছিলাম নিজের কৃত কর্মের জন্য বাসর রাতে শুভার কাছে মাপ চেয়ে নিব । আর ঠিক সেই সময় মেসেজটি আসে ।
.
তোমাকে কি বলে সম্মোধন করব আমার ঠিক জানা নেই । তবে আমার কিছু কথা তোমার জানা দরকার । তোমার আমার ভালোবাসার সম্পর্ক অনেক দিনের, সেটা ছিল পূত পবিত্র কিন্তু তুমি আমার ভালোবাসা কে অপবিত্র করেছ । তোমাকে আমি অনেক বিশ্বাস করতাম । বিশ্বাস করতাম আমার অনর্ব আর যাই হোক আট দশটা ছেলের মতো নয় । সে কখনোই আমার ক্ষতি করবে না । আর সে জন্যই বাড়িতে কেউ না থাকা শর্তেও তোমাকে বাসায় ঢুকতে দিয়েছিলাম কিন্তু সেদিন আমার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে জোর পূর্বক আমার ইজ্জত হরণ করেছ । না আমি কাউকেই বলিনি, তোমাকে ছোট করিনি । কিন্তু সেদিন আমি দেখেছি তোমার হিংস্রতা তোমার দানবীয়তা । একটু ধর্য্য কি ছিলনা তোমার ? আমি কি তোমার হতাম না ? আমি কখনোই চাইনি বিয়ের আগে আমার শরীর কেউ ভোগ করুক ।
.
শুনলাম তুমি আমার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছ । আমি শুনে অবাক হয়নি । তুমি এখন আমাকে দয়া দেখাতে চাচ্ছ কিন্তু আমি তোমার দয়ার পাত্র হতে চাইনা । কি বিশ্বাস আছে তোমার ? যে কিনা তার ভালোবাসার মানুষ একা পেয়ে ধর্ষণ করতে পারে সে অবশ্যই অন্য আরো দশটি মেয়েকে একা পেলে ধর্ষণ করবে । তোমার মতো এতো নিচু মনের মানুষকে আমি কখনোই স্বামী হিসেবে গ্রহণ করব না । আশা করি আমার সাথে কোন রকম যোগাযোগের চেষ্টা করবে না । আমি তোমাকে মন থেকে ঘৃণা করি । তবে আমি চাইব তুমি ভালো থাক নিজেকে মানুষ হিসেবে গড়ে তোল ধর্ষক হিসেবে নয় ।
.
না শুভার সাথে আমার বিয়ে হয়নি আর আমিও কোন মেয়েকে বিয়ে করিনি কারন একজন ধর্ষকের বিয়ে করার কোন অধিকার নেই । যে কিনা নিজের দুর্বল মূহুর্তে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না আর যাই হোক সে কোন মানুষের ভেতর পরে না । শুনেছি শুভা সুইজারল্যান্ড চলে গেছে ওর বড় বোনের কাছে এবং সেখানেই একজন ভালো মানুষ কে বিয়ে করে সুখে আছে । আর আমি মানুষ হবার চেষ্টা করছি । জানিনা ধর্ষক থেকে আদৌ মানুষ হতে পারব কিনা ।

কোন মন্তব্য নেই