Breaking News

ভালোবাসার মানুষের সাথে কথোপকথোন


-হ্যালো!
-কে?
-নাম্বার সেভ নাই? -না তো আপা! আননোন আসছে! -কন্ঠও চিনতেছো না?
-ফোনে তো আমার মার কন্ঠ আর বেবাক
মেয়ের কন্ঠও সেম লাগে!
-আমি ফাহিমা!
-আরেহ তুমি! কেমন আছো??
-ভালো। আমি ভাবলাম হয়তো এখনো নাম্বার
সেভ করে রেখেছো,
মাঝে মাঝে কল দিতে ইচ্ছা করবে আমায়!
-না, যেদিন ব্রেকআপ হয়েছে ঐদিনই ডিলেট
মারছি আমি।
হেসে বলল পিয়াস।
-কেমন আছো তুমি?
-ভালো। তা হঠাৎ ফোন কেন?
-আজ একটু দেখা করতে পারবা?
-করলাম।
-আমার বয় ফ্রেন্ডের সাথে তোমায় নিয়ে
ঝামেলা চলছে।
আমি তাকে বুঝাতে চায়
তোমার আমার সম্পর্ক অন্যকিছু ছিল না!
-অবশ্যই অবশ্যই।
কয়টায় আসবো?
-বিকেলে।
তিন বছর আগের কথা মনে পড়ল পিয়াসের।
ফাহিমার সাথে কাটানো সময়গুলো।
কিভাবে একটা মেয়ে এতটা পাল্টে যায়!
ফাহিমার এক বন্ধু তাকে বলেছিল,
তুই ফাহিমাকে ফিল করবি।
একদিন তার কাছে তোর যেতেই হবে!
তার কথাটা কিছুটা সত্যি হল আজ ।
তবে পিয়াসকে নয়,
ফাহিমাকেই আসতে হল পিয়াসের কাছে।
উইথ বয়ফ্রেন্ড!
ফাহিমা-পিয়াস ও আমার বয়ফ্রেন্ড অভ্র।
পরিচয় করিয়ে দিল ফাহিমা
তার সাবেক বয়ফ্রেন্ডকে বর্তমান
বয়ফ্রেন্ডের সাথে।
অভ্র চিকেন আর স্যুপ অর্ডার দিলো।
দুপুরে কিছু খাওয়া হয়নি পিয়াসের।
আইটেম ভালই!
বিসমিল্লাহ বলে চিকেনের দিকেই হাত
বাড়ালো পিয়াস।
অভ্র-আমি কয়েকটা মাস বাইরে ছিলাম আর তুমি
এরই মধ্যে আমার বন্ধুর সাথে ফেসবুকে চ্যাট
করতে!
ও আমায় সব গুলো ম্যাসাজ দেখিয়েছে।
এমন করলে কেন?
ফাহিমা-আমি তোমায় ফিল করছিলাম।
তাই ও যখন তোমার নাম বলল,
তোমার কথা বলল তখন কথা
না বলে থাকতে পারি নি।
তোমার নাম বলে
কেউ কথা বলতে চাইলে আমি কেন যানি
ফেরাতে পারি না!
চিকেন চাবাতে চাবাতে হাসল পিয়াস।
আর ভাবছে সেম ডায়ালগ, সেম মানুষের মুখেই।
শুধু মাঝে তিনটা বছর পার।
অভ্র-আর তুমি বলেছো পিয়াসের সাথে তোমার
বেশিদিন রিলেশন ছিলো না।
কিন্তু আমি তো শুনলাম তোমাদের ভালই প্রেম ছিল!
ফাহিমা-না,আসলেই তেমন কিছু ছিল না।
তুমি পিয়াসকে জিজ্ঞাসা করো!
পিয়াস তুমি কিছু বল!
চিকেনের হাড্ডি চিবিয়ে প্লেটে ফেলল পিয়াস।
পিয়াস-অভ্র ভাই, এদের চিকেনটা জোস!
আরেকটা অর্ডার দেন প্লিজ!
ফাহিমা অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলো পিয়াসের
দিকে।
এ কোন পিয়াস ! ওতো এমন ছিল না।
ফাহিমা কিছু একটা বললে,
পিয়াস কিভাবে তা করবে দিনরাত
তাই নিয়ে ব্যস্ত থাকতো!
অবাক অভ্র ও কম হয়নি।
তবে ভদ্রতার খাতিরে তার
আবার অর্ডার করতে হল।
পিয়াস-ফাহিমা,
ভালোবাসাটা সবার জন্য আসে না।
অনেকেই ভালোলাগা আর ভালোবাসার
পার্থক্যটা বুঝে না।
তোমার সাথে তাই ই হয়েছে।
তুমি ভালোবাসার আসল অর্থটাই
ধরতে পারলে না।
তুমি ডেকেছো বলে বা তোমাদের সম্পর্ক
ভালো করতে আমি আসিনি এখানে।
আমি এসেছি, তোমার একবন্ধুর কথা ভুল প্রমান
করতে।
সে বলেছিল,আমি পস্তাবো তোমায়
ভেবে!
ও হ্যা ,আর রেস্টুরেন্টে খেতে।
বহুদিন রেস্টুরেন্টে আসি না!
ভালোলাগার জন্য কাউকে ভালোবেসো না।
ভালোলাগাটা বেশিদিন স্থায়ী হয় না।
ভালোবাসা থেকেই কাউকে ভালোবেসো।
সেদিনই তুমি সুখী হবে।
ওদের দুজনকে ভালোলাগা আর ভালোবাসার
দুই মেরুতে রেখে বের হয়ে এল পিয়াস।
আজ বহুদিন পর নিজেকে মুক্ত লাগছে।
ফুরফুরে একটা ভাব এসেছে মনে।
ফোন বের করে প্রিয় বন্ধু মেহেদীকে ফোন দিল।
মেহেদী হালকা পাতলা লেখক মানুষ!
এটা তার কাজে লাগতে পারে!
বহুদিন পর সিগারেট খেতে আজ ভালো লাগছে।
মনে হচ্ছে কেউ ভুলে সিগারেটে
নিকোটিনের জায়গায় মিস্টি জর্দা ঢুকিয়ে
দিয়েছে!
আহ, এত ভালোলাগা কেন চারপাশে আজ!



কোন মন্তব্য নেই