Breaking News

২০'র কোটায় বিয়ে করার নানা সুবিধা

আধুনিক যুগে আমাদের দেশে বাল্যবিবাহ অনেকটাই রোধ করা সম্ভব হয়েছে। আজকাল কেবল প্রত্যন্ত এলাকায় বাল্যবিয়ের চিত্র লক্ষ করা যায়। যাহোক, সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এখন সবকিছু বদলেছে। বদলেছে নারীদের চিন্তাধারাও। এখন পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও অনেক বেশি সচেতন হচ্ছেন। আগে যে বয়সে তারা স্বামী সন্তান নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন, এখন সে সময় তারা উচ্চশিক্ষার চিন্তাই মগ্ন থাকেন। নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবেন। বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষই উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে ক্যারিয়ার তৈরি করে তারপরেই বিয়ের চিন্তা করেন। কিন্তু বয়স যখন ২০’র কোটায়, অর্থাৎ ২০ থেকে ৩০ এর মাঝামাঝি তখন বিয়ে করাই বেশি ভালো। কেননা এ সময়ে বিয়ে করার চমকপ্রদ কিছু সুবিধা রয়েছে-  

দাম্পত্য কলহ কমে 
নির্দিষ্ট সময়ে বিয়ে করলে স্বামী- স্ত্রী একে অপরের জীবন এবং ব্যক্তিত্ব গড়তে সাহায্য করেন। এর ফলে তাদের মাঝে ব্যক্তিত্বের সংঘর্ষ কম হয়। ফলে তাদের সংসারে শান্তি বিরাজ করে।  

বন্ধুত্ব গড়ে উঠে 
২০-৩০ বছরের মধ্যে বিয়ে করলে স্বামী-স্ত্রী সহজেই একে অপরের বন্ধু হয়ে ওঠেন। এতে তারা সহজেই একে অপরের সঙ্গে মানিতে নিতে পারেন।এ কারণেই তাদের বন্ধুত্ব সারাজীবন অটুট থাকে।  

বোঝাপড়া ভালো হয় 
দুজন যখন একসঙ্গে চলার শপথ নেন, তখন তাদের ছোট বড় অনেক বিষয়ই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হয়ে। আর এ কাজটা করতে গিয়ে তাদের মধ্যে বোঝাপড়াও ভালো হয়।  

প্রেরণা পাওয়া যায় 
২০-৩০ এর মধ্যবর্তী সময়ে পড়াশোনা বা ক্যারিয়ার নিয়ে অনেকেই চিন্তায় থাকেন। এ সময় প্রেরণা দেওয়ার একজন মানুষ থাকলে কিন্তু মন্দ হয়না। এতে জীবনে আরও বেশি সফল হওয়া যায়। কারণ বিপদে-আপদে সবসময় আপনার সঙ্গী তো পাশে আছেই।  

আস্থা তৈরি হয় 
কম-বেশি আমাদের সবাইকে টানাটানির মধ্য দিয়ে বড় হতে হয়। কিন্তু জীবনের নির্দিষ্ট একটা পর্যায়ে গিয়ে আমরা সফলতার মুখ দেখতে পাই। এছাড়া এ সময় একজন আরেকজনকে সাপোর্ট করার মাধ্যমে জীবনের অনেক কষ্ট জয় করা সম্ভব হয়। ফলে সহজেই একজনের প্রতি আরেকজনের আস্থা তৈরি হয়।  

সন্তান নেওয়ার উপযুক্ত সময়
২০’র কোঠায় থাকতেই সন্তান নেওয়া সুবিধা অনেক। কেননা এ সময়ে শরীর সন্তান ধারণের জন্য সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত থাকে।  সাফল্যের স্বাদ নেওয়া যায় নির্দিষ্ট সময়ে বিয়ে করলে জীবনের বিভিন্ন বাধা বিপত্তি সামলে একইসঙ্গে কিছু সাফল্যের স্বাদ নেওয়া যায়। পরে বিয়ে করলে এই সুখটা পাওয়া যায় না।  

স্বার্থপরতা এড়ানো যায়
জীবনে সুখে-দুখে একসঙ্গে পথ চলতে হয়। এতে করে দুজনের মধ্যে স্বার্থপরতার কোন অভ্যাস গড়ে উঠে না।   

ভবিষ্যত পরিকল্পণা সহজ হয়
চলার পথে পরিকল্পণা করে এগোলে পথ চলাটা অনেক সহজ হয়।  এক্ষেত্রে সমর্থন পেতে সঙ্গীর পাশে থাকাটা বেশি জরুরি। তাই ২০-৩০ কোঠায় বিয়ে করা ভালো।

কোন মন্তব্য নেই